মাছ চাষে নিয়মিত পরিচর্যা
বাণিজ্যিক উদ্যেশ্যে আধুনিক পদ্ধতি তে
মাছ চাষ করলে, নিয়মিত কিছু কাজ সম্পাদন করতে হয়। অন্যথায়
মাছ চাষে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
বর্তমান প্রেক্ষাপট মোটেও মাছ চাষীদের
অনুকূলে নয়। বিদেশে
মাছ রপ্তানি বন্ধ, উল্টো বিদেশ থেকে সামুদ্রিক ও রুই জাতীয়
মাছ আমদানি করা হচ্ছে, আগের তুলনায় দেশিয় বাজারে মাছের
চাহিদা কমেছে, বাজারে চাহিদার তুলনায় মাছ উৎপাদন দ্বিগুণ
হয়েছে।
ইত্যাদি বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা
যায় চাষী পর্যায়ে বিক্রিত মাছের মূল্য আগের চেয়ে অনেক কমেছে। তাই
এখন আর আগের মত পুঁতিগত বিদ্যা দিয়ে মাছ চাষ করে লাভ করা সম্ভব হবেনা। প্রত্যেক
চাষীকে বিচক্ষণ হতে হবে এবং খরচের বেলায় লাগাম টানতেই হবে।
মাসিক
পরিচর্যা কি কি :-
(১) পুকুর থেকে নিয়মিত ঝোপঝাড়, আগাছা, লতা-পাতা পরিষ্কার করা এবং পুকুর পাড়ের গাছের
ঢাল-পালা ছাঁটাই করা।
(২) পানির প্যারামিটার নিয়ন্ত্রণ এবং পানির
পরিবেশ ঠিক রাখা।
(৩) প্রতি দিন ভোর বেলা এবং রাতের বেলায়
পুকুর ও মাছকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা।
(৪) নিয়ম করে একই সময়ে প্রতিদিন দুই বেলা
সম্পূরক খাবার প্রয়োগ করা।
(৫) ক্যাটফিসের ক্ষেত্রে সপ্তাহে ১ বার,
তেলাপিয়া/পাঙাশের ক্ষেত্রে ১০ দিন পর পর এবং কার্পমাছের ক্ষেত্রে ১৫
দিনে একবার হাত জ্বাল দিয়ে মাছের গ্রোথ ও দেহে কোন রোগ জীবানু আক্রমন করছে কিনা
পর্যবেক্ষণ করা।
(৬) অতিঘনত্বে মাছ চাষ করলে প্রতিদিন
পিএইস/এ্যামোনিয়া পরীক্ষা করতে হবে।
(৭) অতিঘনত্বে চাষের ফলে ঘনত্ব ভেদে ৭ থেকে
১৫ দিন পর পর পুকুরের ২০/৩০% পানি পরিবর্তন করা।
(৮) পুকুরে চুন-লবন প্রয়োগ করা।
(৯) অতিঘনত্বে মাছ চাষ করলে ১৫ দিন পর পর
প্রোবায়োটিক প্রয়োগ করা।
(১০) মাসে একবার বেড় জ্বাল টেনে সম্পূর্ণ
মাছের স্বাস্থ্য, গ্রোথ ও মাছের পরিমান সম্পর্কে ধারনা গ্রহন
করা ইত্যাদি।
0 Comments