সাজিয়ে তুলতে পারেন সুন্দর এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় একটি বারান্দা






ঢাকা শহরের বেশির ভাগ ফ্ল্যাটের ছোট বারান্দায় যেখানে নড়াচড়াই কষ্টকর, সেখানে আবার আলাদা আসবাব! হ্যাঁ, একটুখানি বুদ্ধি খাটালে ছোট্ট বারান্দাতেও রাখতে পারবেন আসবাব। করতে পারেন বসার আয়োজন।

সবার বাসাতেই এখন কমবেশি বাড়তি কুশন বা গদি থাকে। বারান্দার আয়তন যেমনই হোক না কেন, একটু আয়েশ করে সময় কাটানোর জন্য মেঝেতে বিছিয়ে নিতে পারেন এমন বড় কুশন বা গদি। যখন বারান্দা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করবেন, তখন কুশন উঠিয়ে রাখুন। বারান্দার এক দিকে মাটির চাঁড়িতে পানি দিয়ে কিছু গাছ বা লতাপাতা রেখে দিলে পরিপূর্ণ হবে বারান্দার সাজ।

বারান্দাকে সুন্দর ভাবে সাজানোর চমৎকার একটি উপায় হচ্ছে, বারান্দায় একটি দোলনা যোগ করা। বারান্দার দোলনায় আপনি দুলতে দুলতে উপভোগ করতে পারেন পরিবেশের সৌন্দর্য আর দূরে সরিয়ে ফেলতে পারেন সব দুশ্চিন্তা নিমিষেই। আর আরামের জন্য দোলনায় রাখতে পারেন কিছু কুশন।

গাছপালা তো থাকবেই, তার সঙ্গে খুব সামান্য আয়োজনে সাজানো বারান্দা আপনাকে দেবে একটু নিশ্বাসের জোগান।

হাওয়া বয়ে যাওয়া সন্ধ্যা হোক কিংবা তারাময় রাত, একটু হেলান দিয়ে প্রকৃতি উপভোগ করার জন্য বারান্দা খুবই সুন্দর একটি জায়গা। আপনি সূর্যস্নান করতে চাইলে অথবা প্রিয় কোনো বইয়ের সাথে সুন্দর সময় কাটাতে চাইলে বারান্দার লাউঞ্জ চেয়ার অথবা ডে-বেড আপনার জন্য খুবই ভালো একটি অপশন। আর বাড়তি আরাম চাইলে সাথে যোগ করতে পারেন নিজের পছন্দ অনুযায়ী কুশন, যা আপনার সৃজনশীলতাকেও ফুটিয়ে তুলবে

ছোট কিংবা অল্প জায়গায় এই কাজগুলো করা একটু কঠিন মনে হতে পারে।কিন্তু সত্যি বলতে, বাড়তি সৌন্দর্য বাড়াতে বড় বারান্দাই লাগবে এমন কোনো কথা নেই। জায়গার সমস্যা থাকলে ফোল্ডিং ফার্নিচার অর্থাৎ ভাজ করা যায় এমন আসবাব ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার সুবিধা মতো যখন ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারবেন। আরেকটি উপায় হচ্ছে মাল্টি ফাংশনাল ফার্নিচার অর্থাৎ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায় এমন আসবাব ব্যবহার করা। যেমন- একই সাথে বসা যায় এবং গাছপালা কিংবা অন্যান্য জিনিস রাখার মতো ফার্নিচার ব্যবহার করা।

এই টিপসকে কাজে লাগিয়ে আপনি সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার বারান্দাকে।

Post a Comment

0 Comments