ভাদ্র মাসে কেন কাপড় রোদে দেবেন?




পোশাকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে বর্ষা বা টানা বৃষ্টি। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা থাকে বেশি। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া পোশাকের ক্ষতি করে। শখের শাড়ি হোক বা পছন্দের সালোয়ার-কামিজ, সামান্য রোদ না পাওয়ার কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই শরতের শুরুতে অর্থাৎ, এ সময় পোশাক রোদে মেলে দিন। ভাদ্রের রোদে প্রবল তাপ থাকে। আলমারিতে অনেক দিন আটকে থাকা কাপড় শুকাতে দেওয়ার এখনই সময়।

সিল্ক, সুতি বা তসর অনেক দিন নাড়াচাড়া না করলে তন্তুর গায়ে জীবাণু জন্মায়। সিল্কের গায়ে সবচেয়ে দ্রুত লাগে একধরনের ছোট পোকা, নাম সিলভার ফিশ। কারণ, সিল্কের তন্তুর মধ্যে থাকে প্রাণিজ আমিষ। এ ধরনের পোকার প্রিয় খাবার এই প্রাণিজ আমিষ। সূর্যের তাপে এই জীবাণু ও পোকা মারা যায়, দীর্ঘদিন ভালো থাকে কাপড়।

বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় মাদুর বা কাপড় বিছিয়ে আলমারিতে অনেক দিন আটকে থাকা কাপড় রোদে দিন। কাপড়ের ভাঁজ খুলে এপিঠ–ওপিঠ করে ঘণ্টা দুয়েক রোদে দিলেই হবে। একই ভাঁজে দীর্ঘদিন শাড়ি বা পোশাক রাখা ঠিক নয়। শাড়ি বা পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। মাঝে মাঝে রোদে শুকিয়ে ভাঁজ পাল্টে রাখুন, এতে শাড়ি ভালো থাকবে। জামদানি বা মসলিন শাড়ি সরাসরি রোদে না দিয়ে কিছুটা ছায়াযুক্ত জায়গায় শুকাতে হবে। অথবা শাড়ির ওপর একটা পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শুকাতে হবে।

রোদ থেকে এনেই আলমারিতে তুলে রাখা যাবে না। কাপড় কিছুক্ষণ ফ্যানের বাতাসে রাখতে হবে। আলমারি ভালো করে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। রাখার পর ন্যাপথলিন বা নিমপাতা পরিষ্কার কাপড়ে মুড়ে আলমারিতে রেখে দিন। ভেজা কাপড় ভালোমতো রোদে না শুকিয়ে আলমারিতে ঢোকাবেন না। একবার কাপড়ে তিলা বা কালো দাগ পড়ে গেলে সেটা তোলাও কঠিন হয়ে পড়ে।

Post a Comment

0 Comments